দেশের মোবাইল ফোন বাজারে আরও সুবিধা পেতে সরকারি পর্যায়ে বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এয়ারটেল। মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর মধ্যে নবীনতম এ কোম্পানির পক্ষ থেকে যেমন চেষ্টা করা হচ্ছে, তেমনি কূটনৈতিক পর্যায়কেও কাজে লাগানো হচ্ছে।
জানা গেছে, মে মাস থেকে জোরেশোরে শুরু হয়েছে এ প্রচেষ্টা। এর অংশ হিসেবে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন থেকে চিঠি পাঠানো হয়। ভারতীয় এ কোম্পানির মূল প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঢাকা সফর করেন। এক পর্যায়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেও বিটিআরসিতে চিঠি পাঠানো হয়।
দেশের বাজারে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত করতে শীর্ষ অপারেটর গ্রামীণফোনকে ‘সিগনিফিকেন্ট মার্কেট পাওয়ার’ অপারেটর ঘোষণা করাসহ ইন্টার কানেকশন রেট বেশ খানিকটা কমাতে বলছে এয়ারটেল। টেলিকম খাতের সংশ্লিষ্টরা এসব দাবিকে বাড়তি সুবিধা বলেই মনে করছেন।
জানা গেছে, মে মাস থেকে জোরেশোরে শুরু হয়েছে এ প্রচেষ্টা। এর অংশ হিসেবে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন থেকে চিঠি পাঠানো হয়। ভারতীয় এ কোম্পানির মূল প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঢাকা সফর করেন। এক পর্যায়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেও বিটিআরসিতে চিঠি পাঠানো হয়।
দেশের বাজারে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত করতে শীর্ষ অপারেটর গ্রামীণফোনকে ‘সিগনিফিকেন্ট মার্কেট পাওয়ার’ অপারেটর ঘোষণা করাসহ ইন্টার কানেকশন রেট বেশ খানিকটা কমাতে বলছে এয়ারটেল। টেলিকম খাতের সংশ্লিষ্টরা এসব দাবিকে বাড়তি সুবিধা বলেই মনে করছেন।
বিষয়টির সঙ্গে পরে জড়িয়ে পড়ে অর্থ মন্ত্রনালয়ও। বিটিআরসি সব চিঠির প্রেক্ষিত এবং বর্ণনা উল্লেখ করে অর্থ মন্ত্রনালয়কে পুরো পরিস্থিতি তুলে ধরে চিঠিও দেয়।
এ চিঠিতে এয়ারটেল দেশের বাজারে যেসব সুবিধা পেতে চায় তা উল্লেখ করা হয়েছে।
চিঠিতে সরকারের কাছে মোবাইল খাতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে এয়ারটেলের দাবির বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। এমনকি অপারেটরটি বাংলাদেশের মোবাইল সেবা খাতের বাজারকে ‘রাক্ষুসে’ বাজার বলে মন্তব্য করেছে।
একই সঙ্গে বাজারে গুণগত গ্রাহক বলে কিছু নেই উল্লেখ করার পাশাপাশি এ বাজারকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করেছে অপারেটরটি।
এসব বিষয়ে এয়ারটেল কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাইলে চার দিনেও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।
টেকশহরডটকমের পক্ষ থেকে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার পর লিখিতিভাবে জিজ্ঞাসা দিতে বলে অপারেটরটি। গত রোববার ই-মেইলে বিষয়গুলো সম্পর্কে প্রশ্ন পাঠানোর পর আবার ফোন এবং এসএমএসেও একাধিকবার উত্তর চাইলেও বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত কোনো জবাব দেয়নি এয়ারটেল।
বৃহস্পতিবার এয়ারটেলের হেড অব পিআর অ্যান্ড আইসি শমিত মাহবুব শাহাবুদ্দিন তার অপারগতার কথা জানান।
গত ২৫ মে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মাধ্যমে বিটিআরসিতে প্রথমে চিঠি পাঠায় ভারতীয় হাইকমিশন।
এরপর ২১ জুন চিঠি আসে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় থেকে। আগের সব দাবির ওপর জোর দিতে ১৬ জুলাই চিঠি আসে ঢাকায় এয়ারটেল অফিস থেকে।
আর এরপর ভারত থেকে ঢাকায় ছুটে আসেন ভারতীয় এয়ারটেলের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
এসব চেষ্টার পর খানিকটা নড়ে চড়েও বসেন বিটিআরসির কর্মকর্তারা। এমনকি কমিশনের চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস এয়ারটেল অফিস ঘুরেও আসেন।
চিঠিতে এক অপারেটর থেকে অন্য অপারেটরে কল যাওয়ার চার্জ (ইন্টারকানেকশন রেট) কমানোর জন্য বলা হয়েছে। অপারেটরটির মতে, এটি হলে ছোটো অপারেটরগুলো লাভবান হবে।
বর্তমান নিয়ম অনুসারে এক অপারেটরের কল অন্য অপারেটরে গেলে যে অপারেটর কল গ্রহণ করে সেটিকে প্রতি মিনিটের জন্য ১৮ পয়সা দিতে হয়। আর এক মিনিটের জন্য চার পয়সা দিতে হয় ইন্টার কানেকশন এক্সচেঞ্জকে।
তবে গত সপ্তাহে এ বিষয়ে বিটিআরসির বৈঠকে এ প্রস্তাবের বিরোধীতা করেছে বড় তিন অপারেটর গ্রামীণফোন, বাংলালিংক এবং রবি।
এর আগে যখন ভারতীয় দূতাবাস থেকে পাঠানো চিঠিতে সিম ট্যাক্স কমানোর কথা বলা হয়েছিল। যখন এ চিঠি এসেছিল তখন সিম প্রতি ট্যাক্স ছিল ৩০০ টাকা। তবে এখন তা নেমে এসেছে ১০০ টাকা। অবশ্য অন্য অপারেটরগুলোও দীর্ঘদিন থেকে ট্যাক্স কমানোর দাবি জানিয়ে আসছিল।
কর কমানোর বিষয়টিও অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করেছে বিটিআরসি।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, এসব বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যে তারা এয়ারটেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
এসব চিঠি চালাচালির বাইরে চলতি মাসের শুরুতে ঢাকা সফরকালে ভারতী এন্টারপ্রাইজের ভাইস চেয়ারম্যান রাজন ভারতী মিত্তাল এবং এক্সিউটিভ চেয়ারম্যান আকিল গুপ্তা টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এবং বিটিআরসির চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করেও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার কথা বলেন।
লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে তারা গ্রামীণফোনকে ‘সিগনিফিকেন্ট মার্কেট পাওয়ার’ অপারেটর ঘোষণার কথা বলেন। এটি হলে গ্রামীণফোন তখন অনেক সেবা দিতে পারবে না।
২০১০ সালে মোবাইল ফোন অপারেটর ওয়ারিদের ৭০ শতাংশ শেয়ার কিনে নিয়ে বাংলাদেশে যাত্রা করে এয়ারটেল। তখন অপারেটরটির ৭০ শতাংশ শেয়ার ভারতীয় এ কোম্পানি কিনেছিল মাত্র ১ লাখ ডলার মূল্য দেখিয়ে।
অথচ ২০১৩ সালে বাকি ৩০ শতাংশ কিনে নেওয়ার সময় মূল্য দেখানো হয়েছে ৮৫ মিলিয়ন ডলার। এ সময় কোনো কোম্পানির মালিকানা বদলে আগের নির্ধারিত সাড়ে পাঁচশ শতাংশ মূল্য সরকারকে দেওয়ার বিধান তুলে দেওয়া হয়।
এ চিঠিতে এয়ারটেল দেশের বাজারে যেসব সুবিধা পেতে চায় তা উল্লেখ করা হয়েছে।
চিঠিতে সরকারের কাছে মোবাইল খাতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে এয়ারটেলের দাবির বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। এমনকি অপারেটরটি বাংলাদেশের মোবাইল সেবা খাতের বাজারকে ‘রাক্ষুসে’ বাজার বলে মন্তব্য করেছে।
একই সঙ্গে বাজারে গুণগত গ্রাহক বলে কিছু নেই উল্লেখ করার পাশাপাশি এ বাজারকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করেছে অপারেটরটি।
এসব বিষয়ে এয়ারটেল কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাইলে চার দিনেও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।
টেকশহরডটকমের পক্ষ থেকে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার পর লিখিতিভাবে জিজ্ঞাসা দিতে বলে অপারেটরটি। গত রোববার ই-মেইলে বিষয়গুলো সম্পর্কে প্রশ্ন পাঠানোর পর আবার ফোন এবং এসএমএসেও একাধিকবার উত্তর চাইলেও বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত কোনো জবাব দেয়নি এয়ারটেল।
বৃহস্পতিবার এয়ারটেলের হেড অব পিআর অ্যান্ড আইসি শমিত মাহবুব শাহাবুদ্দিন তার অপারগতার কথা জানান।
গত ২৫ মে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মাধ্যমে বিটিআরসিতে প্রথমে চিঠি পাঠায় ভারতীয় হাইকমিশন।
এরপর ২১ জুন চিঠি আসে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় থেকে। আগের সব দাবির ওপর জোর দিতে ১৬ জুলাই চিঠি আসে ঢাকায় এয়ারটেল অফিস থেকে।
আর এরপর ভারত থেকে ঢাকায় ছুটে আসেন ভারতীয় এয়ারটেলের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
এসব চেষ্টার পর খানিকটা নড়ে চড়েও বসেন বিটিআরসির কর্মকর্তারা। এমনকি কমিশনের চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস এয়ারটেল অফিস ঘুরেও আসেন।
চিঠিতে এক অপারেটর থেকে অন্য অপারেটরে কল যাওয়ার চার্জ (ইন্টারকানেকশন রেট) কমানোর জন্য বলা হয়েছে। অপারেটরটির মতে, এটি হলে ছোটো অপারেটরগুলো লাভবান হবে।
বর্তমান নিয়ম অনুসারে এক অপারেটরের কল অন্য অপারেটরে গেলে যে অপারেটর কল গ্রহণ করে সেটিকে প্রতি মিনিটের জন্য ১৮ পয়সা দিতে হয়। আর এক মিনিটের জন্য চার পয়সা দিতে হয় ইন্টার কানেকশন এক্সচেঞ্জকে।
তবে গত সপ্তাহে এ বিষয়ে বিটিআরসির বৈঠকে এ প্রস্তাবের বিরোধীতা করেছে বড় তিন অপারেটর গ্রামীণফোন, বাংলালিংক এবং রবি।
এর আগে যখন ভারতীয় দূতাবাস থেকে পাঠানো চিঠিতে সিম ট্যাক্স কমানোর কথা বলা হয়েছিল। যখন এ চিঠি এসেছিল তখন সিম প্রতি ট্যাক্স ছিল ৩০০ টাকা। তবে এখন তা নেমে এসেছে ১০০ টাকা। অবশ্য অন্য অপারেটরগুলোও দীর্ঘদিন থেকে ট্যাক্স কমানোর দাবি জানিয়ে আসছিল।
কর কমানোর বিষয়টিও অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করেছে বিটিআরসি।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, এসব বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যে তারা এয়ারটেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
এসব চিঠি চালাচালির বাইরে চলতি মাসের শুরুতে ঢাকা সফরকালে ভারতী এন্টারপ্রাইজের ভাইস চেয়ারম্যান রাজন ভারতী মিত্তাল এবং এক্সিউটিভ চেয়ারম্যান আকিল গুপ্তা টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এবং বিটিআরসির চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করেও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার কথা বলেন।
লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে তারা গ্রামীণফোনকে ‘সিগনিফিকেন্ট মার্কেট পাওয়ার’ অপারেটর ঘোষণার কথা বলেন। এটি হলে গ্রামীণফোন তখন অনেক সেবা দিতে পারবে না।
২০১০ সালে মোবাইল ফোন অপারেটর ওয়ারিদের ৭০ শতাংশ শেয়ার কিনে নিয়ে বাংলাদেশে যাত্রা করে এয়ারটেল। তখন অপারেটরটির ৭০ শতাংশ শেয়ার ভারতীয় এ কোম্পানি কিনেছিল মাত্র ১ লাখ ডলার মূল্য দেখিয়ে।
অথচ ২০১৩ সালে বাকি ৩০ শতাংশ কিনে নেওয়ার সময় মূল্য দেখানো হয়েছে ৮৫ মিলিয়ন ডলার। এ সময় কোনো কোম্পানির মালিকানা বদলে আগের নির্ধারিত সাড়ে পাঁচশ শতাংশ মূল্য সরকারকে দেওয়ার বিধান তুলে দেওয়া হয়।
নিউজটি লিখেছেনঃ অনন্য ইসলাম, টেকশহর